বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন
হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পরিচালক, মোঃ রবিউল ইসলাম এর নেতৃত্বে ২৫ শে মার্চ ২১ইং তারিখ দুপুর আনুমানিক ৪.৪০ মিনিটের সময় পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানাধীন খলিশা খালীর আরশাদ আলী মোল্লার বাজারস্থ এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে একটি বন্যপ্রাণী ‘‘তক্ষক’’ উদ্ধার করা হয়।
এ সময় তক্ষক পাচারের অভিযানে মোঃ হাসান গাজী (২৫), পিতা-লাল মিয়া গাজী, গ্রাম, পানখালী, ৭নং ওয়ার্ড, থানা-গলাচিপা, জেলা-পটুয়াখালী ও মোঃ জসিম হাওলাদার (৪২), পিতা-মৃত মকবুল হাওলাদার, গ্রাম,খলিশাখালী, ৯নং ওয়ার্ড, থানা-দশমিনা, জেলা-পটুয়াখালীদ্বয়কে উক্তস্থান থেকে উভয়কে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, গুজব প্রচলিত আছে ক্যান্সারের ঔষধ তৈরীতে তক্ষক ব্যবহার হয়; তক্ষক ঘরে রাখলে সহসাই ধনী হওয়া যায়; মাথার ম্যাগনেট দাম কোটি টাকা; প্রতিবেশী দেশে এর ব্যাপক চাহিদা; এমন গুজবের ওপর ভর করে দেশজুড়ে সংঘবদ্ধ চক্র নির্বিচারে তক্ষক ধরছে । এমন গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে তক্ষক নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করছে প্রতারনা কারীরা। এর পর প্রতারণার মাধ্যমে তাদের হাতে কথিত ‘মহামূল্যবান’ তক্ষক বা এর কঙ্কাল গছিয়ে দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । এসময় ঐ তক্ষকটি ১০-১২ ইঞ্চি তক্ষকের দাম ধরা হচ্ছে ৫০ লক্ষ টাকা। এই চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন অনেকেই। আটককৃত ‘তক্ষক’ পাচারকারী মোঃ হাসান গাজী (২৫) এবং মোঃ জসিম হাওলাদার (৪২) সংঘবদ্ধ ‘তক্ষক’ পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য। তারা অত্যন্ত সুকৌশলে অতি উচ্চ মূল্যে তক্ষক পাচার করে আসছে। আসামীদ্বয়কে উদ্ধারকৃত তক্ষকসহ পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানায় হস্তান্তর করা হয়। উদ্ধারকৃত তক্ষক এর ওজন ১৭৫ গ্রাম এবং লম্বা ১৪ ইঞ্চি। এ ব্যাপারে র্যাব বাদি হয়ে দশমিনা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ২৫-বি ধারা তৎসহ বণ্যপ্রানী (সংরক্ষন ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ৩৪(খ) ধায়ায় একটি মামলা ধায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ ব্যপারে পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত সহকারী পরিচালক মো রবিউল ইসলাম জানান,র্যাবের এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।